আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন নয়াগাঙ্গেরপাড় নামক স্থানের উপর দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীর তীরে অজ্ঞাতনামা কিশোরের লাশ পাওয়া যায়। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য বিভিন্ন এলাকার মসজিদে মাইকিং করে। এরই ভিত্তিতে জানা যায় অজ্ঞাতনামা লাশটি কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আউওয়াল মিয়ার পুত্র হৃদয় মিয়া (১৫)। সে গত ২৭ জানুয়ারি ২০২১ খ্রি: হতে¬ নিখোঁজ ছিল। লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তরের পর সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের পিপিএম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় থানা পুলিশের সদস্যরা কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুলের নেতৃত্বে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে হত্যায় জড়িত আসামী গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করেন। এক পর্যায়ে ভিকটিম কিশোর হৃদয়ের বন্ধু নয়ন ও রুহুল আমিনকে থানায় এন জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তাদের অপর বন্ধু সফরের সাথে হৃদয় ০৫/০৬ দিন ঘোরাফেরা করে। ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রি: থানা পুলিশ ভিকটিম কিশোরের বন্ধু সাদ্দাম হোসেনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তেলিখাল গ্রামে গিয়ে তাকে না পেয়ে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তা নেয়। থানা পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে ৩১ জানুয়ারি ২০২১ খ্রি: ভিকটিম হৃদয়ের লাশ উদ্ধারের পর হতে সন্দেহভাজন আসামী সাদ্দাম হোসেন গাঁ ঢাকা দেয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায় সে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগর এলাকায় অবস্থান করছে। নবীনগরে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই(নি:) হিরক সিংহ গত ১৭ জানুয়ারি ২০২১ খ্রি: নবীনগর থানার বড়াইল ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়াইল গ্রাম হতে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন। পথিমধ্যে হত্যার বিষয়ে আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১। মিজান আহমদ পিতা-আঃ ছত্তার সাং-নয়াগাঙ্গেরপাড় ২। সুমন মিয়া পিতা-বাছির মিয়া সাং-টুকেরগাঁও উভয় থানা-কোম্পানীগঞ্জ জেলা-সিলেটদ্বয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় থানা পুলিশ আটক করে।
এ বিষয়ে সিলেট জেলার পুলিশ সুপার বলেন, অপরাধের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে সিলেট জেলা পুলিশ বদ্ধ পরিকর।
Leave a Reply