VIDEO
তৃণমুলের রাজনৈতিক নেতাদের পদ-পরিচিতি সম্পর্কে স্বচ্চ ধারনা পেতে এবং দিতে ‘চ্যানেল-26’ এর তদন্ত প্রতিবেদন
দলের নেতা কর্মীরা দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নির্বাচন করেছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচন করেছে, আমি দুই বছর মাঠে আছি, জনগণ আমাকে আশ্বাস দিছে নির্বাচন করার জন্য।নৌকার প্রতীক পেলে আমি তালশহর ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব।”মোঃ সোলাইমান মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার ৪নং তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী।সভাপতি- তালশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ (উক্ত পদবী বিষয়েই তথ্য ভিত্তিক তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে স্বাক্ষাৎকার এবং তথ্য প্রমাণাদি সংগ্রহের কাজ চলমান)
সমাজ, দেশ ও জাতির সার্বিক মঙ্গল এবং অগ্রগতির ধারাকে সুসংহত রাখার জন্যে চ্যানেল-26, দৈনিক স্বাধীন সংবাদ, দৈনিক আলোর জগত, দৈনিক মাতৃভূমির খবর এবং দৈনিক প্রতিদিন খবর সহ বেশ কিছু জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স এবং অনলাইন মিডিয়ার সমন্বয়ে উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্টদের মতামত ও বক্তব্য গ্রহন এবং প্রচারের মাধ্যমে বিরাজমান বিষয়টি সম্পর্কে আমরা একটি স্বচ্চ ধারণা পেতে এবং দিতে চাই।২০১৩ইং সালের ১৩ জানুয়ারিতে আশুগঞ্জ উপজেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত উক্ত কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ মুন্সি বেশ কিছুদিন যাবৎ চেষ্টা করেও কোনো সমজতায় পৌছাতে না পারার কারণে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয় নাই। এবং এর মধ্য দিয়েই চলে আসে উপজেলা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হানিফ মুন্সি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারীদের ভোটে মনোনিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন ২০১৪ইং সালে। সেই সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যকার সৃষ্ট অচলাবস্থার এক পর্যায়ে সভাপতি হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া পদত্যাগ করে বসে। ফলে সেই সময় উক্ত উপজেলা কমিটির দ্বারা আশুগঞ্জ উপজেলাধীন যে ৮টি ইউনিয়ন এবং আশুগঞ্জ বন্দর কমিটি রয়েছে সেইগুলোর কার্যত ঐক্যবদ্ধ কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। তখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিজেদের সাধ্য অনুসারে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার সিদ্ধান্তহীনতার কারণে কাজ চলিয়ে গেছে যে যার মত করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের পদত্যাগের কিছু দিনের পর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর নিয়ে হাজী মোঃ ছফিউল্লা মিয়া আহ্বায়ক, আবু নাছের আহম্মেদ যুগ্ম আহ্বায়ক, হানিফ মুন্সি যুগ্ম আহ্বায়ক, খোরশেদ আলম যুগ্ম আহ্বায়ক হয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি আহ্বায়ক কিমিটি তখন থেকে আগামী ৩ মাস তথা ৯০ দিনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। এখানে উল্লেখ্য যে ১৩ জানুয়ারি ২০১৩ইং তারিখের উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের সময় তালশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন হাজী মোঃ আবু সামা এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোঃ মজনু মিয়া। এরপর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি তিন মাসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গ্রুপিং এর দুইটি প্যানেলে কাজ চালাতে থাকে। একটি প্যানেলে ছিল হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া ও আবু নাছের আহম্মেদ এবং অপর প্যানেলে ছিল মোঃ হানিফ মুন্সি এবং খোরশেদ আলম। এই দুই গ্রুপিং প্যানেল কাজ চালাতে গিয়ে প্রত্যেকটি প্যানেল প্রতিটি ইউনিয়নে নিজেদের গ্রুপের পছন্দের লোক দিয়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে কেউ প্রতিপক্ষের আতংকের মধ্যে আবার কেউ ১৪৪ ধারার বাঁধাকে অপেক্ষা করে। তখন তালশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মতই প্রতিটি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের ২টি করে কমিটি গঠিত হয়। এক প্যানেলের কমিটির সমর্থকরা অপরপক্ষকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করতে থাকে। এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসেও এর কোনো সমাধান দিতে পারে নাই।গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির গ্রুপিং প্যানেলের প্যার্টান পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু ঐক্যবদ্ধা কোনো সমজতা আসেনি। পাশাপাশি উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ ৯০দিন নির্ধারন করা থাকলেও আজ ২০২১ইং সালে এসে তা ৬ বছর অতিক্রম করতে চলেছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি আসার কোনোই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে তৃণমূলের নেতারা হয়ে যাচ্ছে গণবিচ্ছিন্ন এবং জবাবদিহিতার বাহিরে যা গণতান্ত্রিক রাজনীতির ক্ষেত্রে চরম এক অসচ্চতা। এই পরিস্থিতিতে আমরা গণমাধ্যম কর্মীরাও রাজনৈতিক নেতাদের পদ-পরিচয় প্রকাশ করতে গিয়েই এই তদন্ত প্রতিবেদনটি করতে সংশ্লিষ্টদের সাথে ধারাবাহিক স্বাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বিষয়টি সম্পর্কে একটি যথাযথ জবাবদিহিতা এবং তথ্য ভিত্তিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করছি।
Leave a Reply