ভাষার জন্য যারা দিয়ে গেছে প্রাণ, তাদের প্রতি লাখো সালাম। সেই ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটি স্বাধীন দেশে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে, এটাইতো স্বাভাবিক। বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বাঁধা নেই। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই সভ্য সমাজ ব্যবস্থায় কিছুলোক কেবলমাত্র নিজের স্বার্থে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে বিনোদনের নামে নানাভাবে বিনোদন প্রেমিকদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। অনলাইন জগতে বিনোদনের নামে তেমনি এক ব্যতিক্রমধর্মী ইউটিউব চ্যানেল মিউজিক বাংলা টিভি। এর প্রযোজনা, পরিচালনা ও প্রকাশনায় জনৈক রুবেল হাওলাদার। বিশ^স্ত সূত্রে জানা গেছে এই রুবেল, হাওয়ালাদার কেবলমাত্র আর্থিক উপার্জনের লক্ষ্যে ইউটিউবে কথিত চ্যানেল মিউজিক বাংলা টিভি, (গইঞ)তে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এ ইউটিউব চ্যানেলে প্রত্যক্ষ করলে দেখা যাবে রুবেল হাউলাদারের প্রযোজনা ও পরিচালনায় বেশ কয়েকটি নাটকও টেলিফিল্ম, শর্ট ফিল্ম প্রচার করছে। এখানে বলতে বাধা নেই যে এসব ভিডিওগুলি তিনি কোন অশুভ উদ্দেশ্যে তৈয়ার করেছেন। এ ক্ষেত্রে আরও বলা প্রয়োজন যে, দেশের প্রচলিত আইনে কোথাও এবং কোন ক্ষেত্রেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের কর্মকে স্বীকৃতি দেয় না। তিনি কিভাবে দেশের ২ থেকে ১০/১২ বছরের শিশুদের অভিনয়কে কাজে লাগিয়ে এমন আপত্তিকর বিনোদনে লিপ্ত তা কারও বোধগম্য নহে। বিশেষ করে একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি। বর্তমান সরকার জনস্বার্থে দেশকে একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঠিকাশ ঘটানো অপরিহার্য্য মনে করছে। ইতোমধ্যে সরকার এ লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা পর্যায়ে সুষ্ঠু ধারার সংস্কৃতিসহ সকল জন কল্যাণমূলক কর্মকাÐের পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। অথচ লক্ষ করলে দেখা যাবে কথিত এই ইউটিউব চ্যানেল “মিউজিক বাংলা টিভি” (গইঞ)’র মালিক জনৈক রুবেল হাওলাদার ইউটিউব থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জনের জন্য ১ বছরের শিশু থেকে বেশির ভাগ ৭/৮ বছরের শিশুদের দিয়ে কথিত ঘটনা সাজিয়ে নাটক, শট ফিল্ম, টেলিফিল্মসহ নানা ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেল, মিউজিক বাংলা টিভি-তে চালিয়ে যাচ্ছেন। যা অপসংস্কৃতির পাশাপাশি অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইউটিউব চ্যানেল “মিউজিক বাংলা টিভি” (গইঞ) বিদ্যমান ভিডিওগুলো প্রত্যক্ষ করলে এমনটিই মনে করবেন দেশের সচেতন মহল। তাই এই অপসংস্কৃতি রোধ হওয়া অত্যাবশ্যক। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং সংস্থাগুলো শিশুশ্রম রোধে অভিযোগটি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকল মহলের।
Leave a Reply