কুলাউড়ার বরমচালে স্কুলছাত্রী কুলসুমা বেগম তসলিমা’র (১৬) মৃ’ত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য মৃ’ত্যুর ১৪ দিন পর আজ লা’শ উত্তোলন করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেছার উদ্দিনের উপস্থিতিতে কুলাউড়া থানা পু’লিশ তসলিমা’র লা’শ কবর থেকে উত্তোলন করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টায় কবর থেকে তার লা’শ উত্তোলন করা হয়েছে।
উত্তোলনকৃত তাসলিমা’র লা’শ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই স্থানীয় বরমচাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী কুলসুমা বেগম তসলিমা প্রেমঘটিত কারণে পরিবারের লোকজনের নি’র্যাতনে মা’রা যেতে পারেন বলে ধারণা স্থানীয়দের। নি’হত তসলিমা’র সাথে এলাকার আজিজ নামে এক নওমু’সলিম যুবকের প্রেমের স’ম্পর্ক ছিল। এ স’ম্পর্ক নি’হতের পরিবার মেনে নেয়নি। ঘটনার দিন স্থানীয় কালা মিয়া বাজারে প্রেমিক আজিজের সাথে দেখা করতে গেলে তসলিমাকে আ’টক করেন কতিপয় ব্যক্তি। এর পর গ্রামপু’লিশ দিয়ে তাকে পাঠানো হয় তার পরিবারের কাছে। আর এদিন বিকেলেই হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃ’ত্যু হয় তসলিমা’র।
সূত্র থেকে আরও জানা যায়, তাসলিমা’র গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা পু’লিশকে অবহিত না করে তাড়াহুড়ো করে লা’শ দাফন করেন। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে পু’লিশকে অবহিত করা হয়। এর প্রেক্ষিতে কুলাউড়া থানা পু’লিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে এবং একপর্যায়ে কবর থেকে লা’শ উত্তোলনের জন্য আ’দালতে প্রার্থনা করলে আ’দালত লা’শ উত্তোলনের অনুমতি দেন।
তবে তসলিমা’র পরিবারের দাবি, কোনো আঘাতে নয়, তসলিমা হার্ট অ্যাটাকে মা’রা গেছে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, স্কুলছাত্রী তসলিমা’র মৃ’ত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য আ’দালতের নির্দেশে লা’শ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply